মো: শাহাব উদ্দিন
সিরিয়ার আল-কুসাইর শহরের অধিবাসীরা যুদ্ধ করছে একটি রুটির জন্য। বাইরে তুষারপাত, কনকনে ঠান্ডা বাতাস। সব উপেক্ষা করে রুটি কেনার জন্য ওই শহরের একটি দোকানের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে তারা।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, সিরিয়াতে চলমান অস্থিরতার কারণে শহরের অধিকাংশ দোকান বন্ধ রয়েছে। তবে ওই দোকানটিই শুধু খোলা থাকে। তাও আবার সকালে মাত্র দুই ঘণ্টার জন্য।
আর তাই যুদ্ধ করে রুটি কিনতে হয় ক্রেতাদের। এ সম্পর্কে স্থানীয় এক অধিবাসী জানান, তাঁরা ১০টি রুটি কিনতে চেয়ে মাত্র পাঁচটি রুটি পাচ্ছেন। এর কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, শহরে আটার কোনো মজুদ নেই। রুটি উত্পাদনকারীরা লেবানন সীমান্ত থেকে চোরাচালানির মাধ্যমে অল্প পরিমাণ আটা নিয়ে আসতে পারছেন। এ আটা দিয়ে যে রুটি তৈরি করা হচ্ছে তা দিয়ে শহরের অর্ধেক অধিবাসীর কোনো রকম চাহিদা মিটছে। বাকিরা থাকছেন অভুক্ত।সিরিয়ার আল-কুসাইর শহরের অধিবাসীরা যুদ্ধ করছে একটি রুটির জন্য। বাইরে তুষারপাত, কনকনে ঠান্ডা বাতাস। সব উপেক্ষা করে রুটি কেনার জন্য ওই শহরের একটি দোকানের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে তারা।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, সিরিয়াতে চলমান অস্থিরতার কারণে শহরের অধিকাংশ দোকান বন্ধ রয়েছে। তবে ওই দোকানটিই শুধু খোলা থাকে। তাও আবার সকালে মাত্র দুই ঘণ্টার জন্য।
সিরিয়ার অধিবাসীরা শুধু যে খাদ্যের সংকটে ভুগছে তা নয়, তারা চরম জ্বালানি সমস্যায়ও আছে। তুষারপাত ও ঠান্ডা বাতাসের ফলে জ্বালানির অভাব তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। এ পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে স্থানীয় এক অধিবাসী বলেন, তাঁরা গরম কাপড় পরার পরও শীতের যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। শিশুদের করুণ অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। আর এই কষ্টের জন্য তাঁরা বাশার আল-আসাদকে দায়ী করছেন। ওই অধিবাসী আরও জানান, আসাদ সব জ্বালানি মজুদ করে রেখেছেন, তাঁদেরকে কোনো জ্বালানি দিচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে রেডক্রস জনগণের কাছে খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানি তেল পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন