শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১১

হবিগঞ্জে তক্ষকের পেছনে হাজারো যুবক

Sahab Uddin:
একবার পাওয়া গেলেই কোটি টাকার মালিক হয়ে যাবো এই আশায় দীর্ঘদিন যাবত এক শ্রেণীর যুবকরা ম্যাগনেট পিলার, কষ্টি পাথরের মূর্তি, পুরানো কয়েন, কালো বিড়াল ও আমাদের দেশে এক টাকার পেতল রঙা কয়েন এসবের পিছনে ছুটেছে।
তবে আজ পর্যন্ত কেউ কোটি পতি তো দূরের কথা লাখ পতি হয়েছেন এমন খবর পাওয়া যায়নি।
এসবের অবসানের পর বর্তমানে দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় হবিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানের যুবকরা সহজেই কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে ছুটছে তক্ষক পিছনে।
 কথিত একটি চক্র আড়াল থেকে এলাকায় রটিয়েছে- যদি ৩০০ গ্রাম ওজনের একটি তক্ষক (স্থানীয় নাম কক্কা) কোনো ব্যক্তি ধরতে পারে, তাহলে তাকে এক কোটি টাকা দেয়া হবে।

তাই হবিগঞ্জের কিছু যুবক এ চক্রটির কথা বিশ্বাস করে ছুটছে তক্ষকের পিছনে। কোথায় পাওয়া যাবে একটি ৩০০ গ্রাম ওজনের তক্ষক।
তবে প্রাচীন একটি প্রথা সবারই জানা আছে- যা আগেকার মুরুববীদের মুখে শোনা যেত, যদি একটি তক্ষক একবার কাউকে কামড় দেয় তাহলে, তার আর রক্ষা নেই, নির্ঘাত মৃত্যু। পুরানো পাকা দেয়ালের গর্তে ও পুরানো গাছের গর্তে বসবাসকারী এ নিরীহ প্রাণীটি আজ পর্যন্ত কাউকে কামড় দিয়েছে এমন খবর পাওয়া যায়নি।
আর তক্ষক একবার কামড় দিলে নির্ঘাত মৃত্যু জেনেও জীবন বাজি রেখে অনেকে ধরছেন তক্ষক। ধরার পর আড়ালে থাকা চক্রটির সঙ্গে কোনোভাবে যোগাযোগ করে কক্কা ধরার সংবাদ জানালে, তারা জানায় এটির ওজন কত? তখন ওজন করে দেখা যায় দেড়শ’ থেকে দুইশ’ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। পরে ওই চক্রটি জানায়, ৩০০ গ্রাম ওজন ছাড়া নেয়া যাবে না।
এলাকার কয়েকজন মুরুব্বি জানান, বর্তমানে তক্ষক নামক এ নিরীহ প্রাণীটি আমাদের দেশে প্রায় বিলুপ্তির পথে। আগেকার যুগে এগুলো প্রচুর পাওয়া যেত। টিকটিকির মতো দেখতে চার পা-ওয়ালা এ প্রাণীটি কখনো তারা বেশি বড় হতে দেখেন নি। বড়জোর ২০০ গ্রাম ওজন পর্যন্ত পাওয়া যেতে পারে।
এলাকাবাসীর অভিমত, একটি চক্র আমাদের দেশের সহজ-সরল যুবকদের ধোঁকা দেয়ার জন্য আড়াল থেকে গুজব রটিয়ে যাচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন