Sahab Uddin
কক্সবাজারের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিমছড়িতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও হকারদের উপর এবার খড়গ নেমেছে কতিপয় প্রভাবশালীর। এসব প্রভাবশালীরা ইতোমধ্যেই হিমছড়ি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসা হকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রশাসনের নামে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আর এসব টাকায় দোকান তৈরী করে ব্যবসার অনুমতি মিলেছে মাত্র ৩৪ জন প্রভাবশালীর। আরো শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও হকারের গরু-বাচুর বিক্রি, জমি বিক্রি, ¯¦র্ণ-অলংকার বন্ধক রেখে এনে দেয়া টাকার কোন হদিস নেই। এসব টাকা চলে গেছে কতিপয় প্রভাবশালীর পকেটে। জীবনের শেষ সম্বল এসব টাকা হারিয়ে এখন পথে বসেছেন অনেক ব্যবসায়ী। এছাড়া যেসব হকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী চাহিদা মতো টাকা দিতে পারেননি-তাদের উপর নেমে এসেছে উচ্ছেদের খড়গ। জানা গেছে, হিমছড়িতে ব্যবসা করে আসছে এমন শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কাছ থেকে শ্রমিক দল নেতা গিয়াস উদ্দিন ও ভুলু হিমছড়িতে দোকান করে স্থায়ীভাবে ব্যবসা করার সুযোগ করে দেয়ার কথা বলে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। তবে এর ভিত্তিতে দোকান বরাদ্ধ (ডিসিআর) একসনা লিজ পেয়েছেন প্রভাবশালী কতিপয় ব্যবসায়ী। সেখানে বরাদ্ধ পাওয়া ৩৪ জনের মধ্যে নাম মাত্র কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রয়েছেন। এছাড়া টাকা দেয়া হলেও অধিকাংশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দোকান করার জায়গার জন্য একসনা লিজ (ডিসিআর) পাননি। আর ওই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রশাসনের সাথে দহরম-মহরম সম্পর্ক আছে এমন ভাব দেখিয়ে প্রভাবশালী মহলটি এবার নিতান্ত দরিদ্র হকারদের উপর যমদূত হিসেবে আর্বিভূত হয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে মহলটি স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধিকে সাথে নিয়ে হকারদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে আসছেন। অন্যথায় প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের উচ্ছেদ করে রুটি-রুজি বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও হুমকি দিচ্ছেন। হিমছড়ি পর্যটন স্পটকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে জীবিকা নিবার্হ করে আসছে এমন অর্ধশতাধিক হকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী গতকাল এ প্রতিবেদককে বলেছেন, ১০/১৫ বছর ধরে তিলে তিলে তারা হিমছড়ি র্ঝণাকে আগলে ধরে সেখানে পর্যটকদের সেবা দিয়ে আসছেন। এমন এক সময় ছিল যখন সেখানে জনমানবের তেমন বসতি ছিল না। পর্যটকদের আগমনও ছিল কম। তখন সেখানে পর্যটকরা গিয়ে খাবার,পানি সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কিছুই পেতেন না। আর আমরা সেখানে আস্তে আস্তে ধৈর্য ধরে অনেক কষ্টে জীবিহা নিবার্হ করে আসছি। হিমছড়িকে আজ একটি অন্যতম পর্যটন স্পট হিসেবে পরিচিত করতে আমাদের অবদানও কম নয়। এ অবস্থায় এসে প্রভাবশালী লোকজন আজ আমাদের জীবন-জীবিকার উপর হামলে পড়েছেন। তারা জানান, আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক দলের নেতা পরিচয়ে জনৈক গিয়াস ও স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি প্রত্যেক হকারের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করেছেন। অন্যথায় তাদের হিমছড়িতে ব্যবসা করতে দেবে না বলেও হুমকি দিচ্ছেন বলে তারা জানান। হকাররা জানান, আমরা শুধুই হকার। সরকারী খালী জমিতে বসে ক্ষুদ্র ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছি মাত্র। আমরাতো আর চুরি-ডাকাতি করছিনা। আমাদের মতো হকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পক্ষে কিইবা দেয়ার আছে। হকাররা প্রশ্ন রেখে বলেন, হিমছড়িতে ব্যবসা করার জন্য প্রভাবশালী লোকজন যদি সরকারী জমির একসনা লিজ (ডিসিআর) পেতে পারেন-তাহলে আমরা কি দোষ করেছি? প্রভাবশালী এসব সুবিধা ভোগীর চাহিদা মতো চাঁদা দিতে না পারার কারনে তারা এখন বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়ায় হকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আতংকে আছেন বলে তারা জানান। হকাররা বলেন, প্রশাসনকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এসব প্রভাবশালী লোকজন এখন তাদের জীবিকা বন্ধ করে দিতে চায়। এসব বিষয়ে হিমছড়ি বাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও শ্রমিক দলের নেতা গিয়াস উদ্দিন জানান, প্রতিটি দোকান বাবদ ৫০ হাজার টাকা করে প্রশাসনকে দিয়ে ৩৪ টি দোকানের ডিসিআর নেয়া হয়েছে। অন্য ব্যবসায়ীদের টাকা ফেরৎ দেয়া হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। এছাড়া অন্যান্য অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেন।
আর এসব টাকায় দোকান তৈরী করে ব্যবসার অনুমতি মিলেছে মাত্র ৩৪ জন প্রভাবশালীর। আরো শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও হকারের গরু-বাচুর বিক্রি, জমি বিক্রি, ¯¦র্ণ-অলংকার বন্ধক রেখে এনে দেয়া টাকার কোন হদিস নেই। এসব টাকা চলে গেছে কতিপয় প্রভাবশালীর পকেটে। জীবনের শেষ সম্বল এসব টাকা হারিয়ে এখন পথে বসেছেন অনেক ব্যবসায়ী। এছাড়া যেসব হকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী চাহিদা মতো টাকা দিতে পারেননি-তাদের উপর নেমে এসেছে উচ্ছেদের খড়গ। জানা গেছে, হিমছড়িতে ব্যবসা করে আসছে এমন শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কাছ থেকে শ্রমিক দল নেতা গিয়াস উদ্দিন ও ভুলু হিমছড়িতে দোকান করে স্থায়ীভাবে ব্যবসা করার সুযোগ করে দেয়ার কথা বলে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। তবে এর ভিত্তিতে দোকান বরাদ্ধ (ডিসিআর) একসনা লিজ পেয়েছেন প্রভাবশালী কতিপয় ব্যবসায়ী। সেখানে বরাদ্ধ পাওয়া ৩৪ জনের মধ্যে নাম মাত্র কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রয়েছেন। এছাড়া টাকা দেয়া হলেও অধিকাংশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দোকান করার জায়গার জন্য একসনা লিজ (ডিসিআর) পাননি। আর ওই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রশাসনের সাথে দহরম-মহরম সম্পর্ক আছে এমন ভাব দেখিয়ে প্রভাবশালী মহলটি এবার নিতান্ত দরিদ্র হকারদের উপর যমদূত হিসেবে আর্বিভূত হয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে মহলটি স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধিকে সাথে নিয়ে হকারদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে আসছেন। অন্যথায় প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের উচ্ছেদ করে রুটি-রুজি বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও হুমকি দিচ্ছেন। হিমছড়ি পর্যটন স্পটকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে জীবিকা নিবার্হ করে আসছে এমন অর্ধশতাধিক হকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী গতকাল এ প্রতিবেদককে বলেছেন, ১০/১৫ বছর ধরে তিলে তিলে তারা হিমছড়ি র্ঝণাকে আগলে ধরে সেখানে পর্যটকদের সেবা দিয়ে আসছেন। এমন এক সময় ছিল যখন সেখানে জনমানবের তেমন বসতি ছিল না। পর্যটকদের আগমনও ছিল কম। তখন সেখানে পর্যটকরা গিয়ে খাবার,পানি সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কিছুই পেতেন না। আর আমরা সেখানে আস্তে আস্তে ধৈর্য ধরে অনেক কষ্টে জীবিহা নিবার্হ করে আসছি। হিমছড়িকে আজ একটি অন্যতম পর্যটন স্পট হিসেবে পরিচিত করতে আমাদের অবদানও কম নয়। এ অবস্থায় এসে প্রভাবশালী লোকজন আজ আমাদের জীবন-জীবিকার উপর হামলে পড়েছেন। তারা জানান, আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক দলের নেতা পরিচয়ে জনৈক গিয়াস ও স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি প্রত্যেক হকারের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করেছেন। অন্যথায় তাদের হিমছড়িতে ব্যবসা করতে দেবে না বলেও হুমকি দিচ্ছেন বলে তারা জানান। হকাররা জানান, আমরা শুধুই হকার। সরকারী খালী জমিতে বসে ক্ষুদ্র ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছি মাত্র। আমরাতো আর চুরি-ডাকাতি করছিনা। আমাদের মতো হকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পক্ষে কিইবা দেয়ার আছে। হকাররা প্রশ্ন রেখে বলেন, হিমছড়িতে ব্যবসা করার জন্য প্রভাবশালী লোকজন যদি সরকারী জমির একসনা লিজ (ডিসিআর) পেতে পারেন-তাহলে আমরা কি দোষ করেছি? প্রভাবশালী এসব সুবিধা ভোগীর চাহিদা মতো চাঁদা দিতে না পারার কারনে তারা এখন বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়ায় হকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আতংকে আছেন বলে তারা জানান। হকাররা বলেন, প্রশাসনকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এসব প্রভাবশালী লোকজন এখন তাদের জীবিকা বন্ধ করে দিতে চায়। এসব বিষয়ে হিমছড়ি বাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও শ্রমিক দলের নেতা গিয়াস উদ্দিন জানান, প্রতিটি দোকান বাবদ ৫০ হাজার টাকা করে প্রশাসনকে দিয়ে ৩৪ টি দোকানের ডিসিআর নেয়া হয়েছে। অন্য ব্যবসায়ীদের টাকা ফেরৎ দেয়া হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। এছাড়া অন্যান্য অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন