Sahab Uddin:
অপরদিকে মৃত নাজমা বেগমকে গতকাল বিকাল ৫টায় স্থানীয় বাহারছড়া গোলচত্ত্বর মাঠে ১ম দফা জানাজা শেষে তাকে গ্রামের বাড়ী সিরাজগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়।
শহরের ফুয়াদ আল খতীব হাসপাতালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কান্ড ঘটেছে। রোগীর আত্মীয় স্বজন হাসপাতালে ব্যাপক ভাংচুর করেছে। উত্তেজিত মানুষের রোষানল থেকে বাঁচতে হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীরা আত্মগোপনে চলে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল বেলা ১টায় এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, শহরের বাহারছড়া এলাকায় বসবাসকারী মাসুদ খানের স্ত্রী নাজমা বেগম (৪০) সোমবার রাতে মাথাব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসেন। কর্তব্যরত ডাক্তার নজরুল ইসলাম তাকে হাসপাতালে ৪০৮ নম্বর কেবিনে ভর্তি দেয়। সকালে ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মাসুম এসে রোগীকে দেখে প্যারাসিটামল ও ঘুমের ইনজেকশন লিখে দেন। লিখে দেওয়া ঘুমের ইনজেকশন পুশ করার পর থেকে মহিলা জ্ঞান ফিরেনি। এক পর্যায়ে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করলে রোগীর আত্মীয় স্বজন বিক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতালে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। ওই সময় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে উত্তেজিত আত্মীয় স্বজন খোঁজখুজি করলে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তাদের রোষানল থেকে বাঁচতে হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীরা আত্মগোপনে চলে যায়। ভাংচুরে হাসপাতালের এয়ার কন্ডিশন, কম্পিউটার, ইউপিএস, টেলিফোন, অন্যান্য আসবাবপত্রসহ কমপক্ষে ২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে কক্সবাজার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আমিনুর রশিদ ভূল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর কথা অস্বীকার করে বলেন, রোগীনি দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল। ভাংচুরকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি। অপরদিকে মৃত নাজমা বেগমকে গতকাল বিকাল ৫টায় স্থানীয় বাহারছড়া গোলচত্ত্বর মাঠে ১ম দফা জানাজা শেষে তাকে গ্রামের বাড়ী সিরাজগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন