মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০১১

ফেসবুকের বিরুদ্ধে আদালতে পিটিশন!

Sahab Uddin
সামাজিক সম্পর্ককে পুঁজি করে ‘যৌন নিপীড়ন সংস্কৃতি’কে উস্কে দিচ্ছে সোস্যাল নেটওয়ার্ক জায়ান্ট ফেসবুক। আর অভিযোগ আমলে না নেয়ায় এবার আদালেতর দ্বারস্থ হয়েছেন আমেরিকা এবং বৃটেনের নারী অধিকারকর্মীরা। ফেসবুক থেকে ‘যৌন নিপীড়ন সংস্কৃতি’ উস্কে দেয় এমন পেজগুলো যেন মুছে দেয়া হয় তার জন্য আদালতে বিশেষ আরজি জানিয়েছের বৃটেনের তিন হাজার ৬০০ এবং আমেরিকার এক লাখ ৭৫ হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারী।
অবশ্য এর আগেই প্রতিকার চেয়ে ‘ডিমান্ড ফেসবুক রিমুভ পেজেস দ্যাট প্রোমোট সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স’ শিরোনামের একটি আবেদনপত্র আমেরিকা ভিত্তিক সাইট ‘চেঞ্জ.ওআরজি’তে প্রকাশ করা হয়। কিন্তু এ আবেদন আমলে নেয়নি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। বরং যৌন নিপীড়ন বিষয়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীর বিভিন্ন পোস্ট বাতিল করতে অস্বীকৃতি জানায় তারা।
ফলে গত শনিবার আদালতের শরণাপন্ন হন আমেরিকা ও বৃটেনের রক্ষণশীল ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। দাখিল করেন যৌথস্বাক্ষরিত একটি রিটপিটিশন। ফেসবুকের টার্মস অ্যান্ড সার্ভিসিই ‘ভয় দেখানো বা ঘৃণা প্রদর্শন করা বা যৌন নিপীড়ন বিষয়ক কোনো গ্রাফিক্স ফেসবুক বরদাশত করবে না’ উল্লেখ আছে। তবুও কাউকে নিপীড়ন করতে বা উদ্দেশ্যমূলক কোনো পোস্ট করা হলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সেটি সরাতে অনীহা দেখাচ্ছে বলে পিটিশনটিতে অভিযোগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ‘যৌন নিপীড়ন সংস্কৃতিকে উস্কে দেয়’ এমন পেইজগুলোর বিষয়ে ফেসবুককে পরিষ্কার ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীরা।
বৃটেনে পিটিশনে নেতৃত্ব দেয়া জানে ওসমনড জানিয়েছেন, ফেসবুককে তার অস্তিত্ব ও নামের প্রতি সুবিচার করতেই ‘ধর্ষণ সংস্কৃতি’কে উস্কে দেয় এমনসব পেইজ মুছে দেয়া উচিত। কেননা এগুলো খুবই হীন ও অস্বিস্তকর।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন