Sahab Uddin
আফ্রিদির কাছে হেরে গেলো শ্রীলঙ্কা।আর সিরিজ জিতে নিলো পাকিস্তান। আসলে আফ্রিদি যেদিন খেলে সেদিন প্রতিপক্ষের আর কিছু করার থাকে না। শারজায় তাই হয়েছে।রান করেছেন ৭৫ আর উইকেট ৫টি। শ্রীলঙ্কা ২০০ রানও পেরুতে পারেনি। ২৬ রানে হেরে যায়।
শারজায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে পাকিস্তান ২০০ রানে অলআউট হয়েছে। এদিন পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করতে পারেনি পাকিস্তান।
৪৯.৩ ওভারে পাকিস্তানের ৭১ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে পাকিস্তান। এক পর্যায়ে মনে হয়েছিল ১০০ রানের কোটা পার করতে পারবে না পাকিস্তান। কিন্তু পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি পাকিস্তানের হাল ধরেন। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৬৫ বলে ৭৫ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেললে ২০০ রান করতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। টসে জিতে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের ইনিংসে প্রথম আঘাত হানেন শ্রীলঙ্কার পেসার দিলহারা ফার্নান্ডো। ১০ রান করা ওপেনার ইমরাত ফারহাতকে সাঙ্গাকারার ক্যাচে পরিণত করেন ফার্নান্ডো। দ্বিতীয় উইকেটে মোহাম্মদ হাফিজ ও ইউসুস খান ৩৯ রান যোগ করার পর মোহাম্মদ হাফিজ প্রসন্নর শিকারে পরিণত হন। হাফিজ ৫১ বল খেলে তিনটি চারের সাহায্যে ২৭ রান করেন।
৫৭ রানে দুই উইকেট পতনের পর আর মাত্র ১৪ রান যোগ করতেই আরো তিন তিনটি মূল্যবান উইকেট হারায় পাকিস্তান। ইউনুস খান ১৮, শোয়েব মালিক ২ এবং ওমর আকমল ২ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে অধিনায়ক মিসবাহও বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি শহীদ আফ্রিদিকে। দলীয় ৯৭ রানে মিসবাহ রান আউট হয়ে গেলে ষষ্ঠ উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর শহীদ আফ্রিদি তার ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেন। সরফরাজ আহমেদের সাথে সপ্তম উইকেট জুটিতে ২৩ এবং সাঈদ আজমলকে সাথে নিয়ে অষ্টম উইকেট জুটিতে দ্রুতগতিতে ৬১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন শহীদ আফ্রিদি।
শহীদ আফ্রিদি চারটি চার এবং তিনটি বিশাল ছক্কার সাহায্যে ৬৫ বলে ৭৫ রান করে আউট হন। শহীদ আফ্রিদি আউট হওয়ার পর ১৯ রানে বাকি দুই উইকেটের পতন ঘটলে ২০০ রানে গুটিতে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। ৪৯.৩ ওভার মোকাবেলা করে পাকিস্তান।
শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে দিলহারা ফার্নান্ডো তিনটি, জিভান মেন্ডিস এবং প্রসন্ন দুটি করে উইকেট নেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন