শনিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১২

পেপসি পানে ক্যান্সারের ঝুঁকি!

মো: শাহাব উদ্দীন
কার্বনেট পানীয় পেপসি শরীরের জন্যে মারাত্মক ক্ষতিকর। এমনকি এতে ব্যবহার করা রঙের উপাদানে রয়েছে ক্যান্সারের ঝুঁকি। বাংলাদেশে ট্রান্সকম বেভারেজের আমদানি করা আটটি কার্বনেট পানীয়ের মধ্যে পেপসি অন্যতম।
সম্প্রতি ডেইলি মেইলে ওয়াশিংটনভিত্তিক স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রভাবশালী লবি গ্রুপ ‘সেন্টার ফর সায়েন্স ইন দ্য পাবলিক ইন্টারেস্ট’ (সিএসপিআই) জানিয়েছে, পেপসিকে রঙিন করতে ব্যবহৃত উপাদানে ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে। এ কারণে ক্ষতিকর ওই উপাদানযুক্ত পানীয়সহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন বন্ধ করা উচিত।
সিএসপিআই’র দাবি, পেপসি প্রস্তুত করতে ব্যবহৃত কৃত্রিম বাদামি রং তৈরির উপাদান ‘ক্যারামেল কালারিং’ ব্যবহৃত হয়। এর দু’টি রাসায়নিক পদার্থ ‘টু-এমআই’ ও ‘ফোর-এমআই’-এর ফলে ক্যান্সার হয়। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বিষবিদ্যা বিষয়ক প্রকল্পের (এনটিপি) অধীনে পরিচালিত গবেষণায় ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানান, টু-এমআই ও ফোর-এমআই প্রাণীর শরীরে ক্যান্সার তৈরি করে। এর সপক্ষে `স্পষ্ট প্রমাণ` পাওয়া গেছে।
‘গবেষণাগারে এই দু’টি রাসায়নিক পদার্থের বিষক্রিয়ায় ইঁদুরের ফুসফুস ও যকৃতে ক্যান্সার অথবা থাইরয়েড ক্যান্সার অথবা লিউকেমিয়া হওয়ার কারণ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।’
জ্যাকবসন বলেন, খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত করতে ক্যারামেল কালারিংয়ের কোনো স্থান নেই। এগুলো বিশেষভাবে কেবল প্রসাধন তৈরিতে ব্যবহৃত হতে পারে।
সিএসপিআই বিভিন্ন ধরনের কোমল পানীয়ে চার ধরনের ক্যারামেল কালারিং পেয়েছে। এদের দু’টি তৈরি হয় অ্যামোনিয়া থেকে। এ দু’টি ক্যারামেল কালারিংকে নিষিদ্ধের পক্ষে সিএসপিআই। এনটিপির পাঁচজন নামকরা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ এতে সমর্থন জানিয়েছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ স্টান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন সূত্র জানায়, বাংলাদেশে যে পেপসি তৈরি করা হয়, তার ফর্মুলা আসে আমেরিকা থেকে।
ক্যারামেল কালারিং-এর মতো রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে পেপসিতে। কিন্তু বিএসটিআই-এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন? জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসটিআই কর্মকর্তা বলেন, ‘এসব বহুজাতিক কোম্পানিদের দেশীয় ডিলাররা খুবই শক্তিশালী।’
ট্রান্সকম বেভারেজের মালিক লতিফুর রহমানের বিরুদ্ধে পেপসি ছাড়াও অন্যান্য খাবারে ক্ষতিকর উপাদান মেশানো এবং ভেজালের অভিযোগ থাকলেও প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেয়া সহজ নয় বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে ট্রান্সকম বেভারেজের তথ্যকেন্দ্রে দায়িত্বরত কর্মকর্তা স্মৃতি বলেন, ‘রং নিয়ে ডাইরেক্টর সাহেব আপনার সঙ্গে কথা বলবেন না। আপনি ফ্যাক্টরিতে যোগাযোগ করুন।’
তবে র কারখানার ল্যান্ডফোনে যোগাযোগ করে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন