মো: শাহাব উদ্দিন
বয়স ৪৬ পার হলেও যৌবনের উদ্যমতা ও তারুণ্যের গতি এখনো ধরে রেখেছেন বলিউড বডিগার্ড সালমান খান। বাস্তব জীবনের কারো বডিগার্ড না হলেও বলিউডের সেরা সব সুন্দরী হিরোইনদের বডিগার্ড হয়েছেন, অর্থাৎ জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন। সেই ১৯৮৮ সাল থেকে বলিউড ফিল্মডোমে আছেন সল্লু মিয়া। অভিনয় করেছেন ৮০টির বেশি ছবিতে।
এসব ছবির সিংহভাগই দেখেছে বানিজ্যিক সাফল্যের মুখ। সালমানের ভক্ত এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে। বাংলাদেশেও তার ভক্তের সংখ্যা অনেক।
সালমান খান তার তিন দশকের ক্যারিয়ারে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে করেছেন দুর্দান্ত অভিনয়। অ্যাকশন আর রোমন্টিক, সব চরিত্রেই তিনি দারুন মানিয় নেন। এভারগ্রিন এই হিরো তার সুঠাম দেহের জন্যও কম জনপ্রিয় নন। বলিউডের সেরা প্রায় সুন্দরীকেই সালমান খানের বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা গেছে। বলিউডে আজকের জনপ্রিয় একাধিক অভিনেত্রী ফিল্মে পরিচিতি পেয়েছেন তার সঙ্গে অভিনয় করে।
সালমান খানের তিন দশকের ক্যারিয়ারে যেসব বলিউড বিউটি তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন, আসুন তাদের প্রতি চোখ রাখি।
ভাগ্রশী: ভাগ্যের চাকা ঘোরার প্রথম সঙ্গী
বলিউড ফিল্মডোমে সালমানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সূচনাতে তার প্রথম সঙ্গী হন হরিনী চোখের অধিকারী বলিউড অভিনেত্রী ভাগ্যশ্রী। ১৯৮৯ সালে সালমান ও ভাগ্যশ্রীর অভিনীত রোমান্টিক ছবি ‘মেনে পেয়ার কিয়া’ ব্লক ব্লাস্টার হিট করে। এই ছবি থেকে ঘুরে যায় সালমানের ভাগ্যে চাকা। অভিনয় ক্যারিয়ারে তার সাফল্যের যাত্রা শুরু হয় এ ছবির মাধ্যমে। বলিউডে এ ছবির সাফল্যের ধারাবহিকতা বজায় রেখে সালমান খান সুপ্রতিষ্ঠিত হলেও অভিনয় থেকে ঝরে পড়েন নায়িকা ভাগ্যশ্রী।
মাধুরী দীক্ষিত : যার অবদান সবচেয়ে বেশি
বলিউডের সর্বকালের সেরা সুন্দরী মাধুরী দীক্ষিত। অপরূপ হাস্যজ্জ্বোল মুখের অধিকারী এ নায়িকা সালমানের ক্যারিয়ারে অবদান রেখেছেন সবচেয়ে বেশি। সে সময়ের তুলনামুলক নবীন অভিনেতা সালমানের সঙ্গে অভিনয়ে তিনি সামর্থ্যরে সবটুকু ঢেলে দিতে বিন্দু পরিমান কার্পন্য করেন নি। ১৯৯১ সালে ‘সাজান’ ও ১৯৯৪ সালের ‘হাম আপকে হে কৌন’ ছবি দুটোতে মাধুরীর সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন সালমান। ব্যবসা সফল এ পারিবারিক বিনোদনের এ দুটি ছবি দর্শকদের মনে এখনো দাগ কেটে আছে।
ঐশ্বরিয়া রাই : অনন্য সেই ক্যামিস্ট্রি
এভারগ্রীন ব্যাচেলর সালমান ও সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাইয়ের অনন্য কেমিস্ট্রির কথা আজ বলিউডের ইতিহাসের অংশ হয়ে আছে। ১৯৯৯ সালে ‘হাম দিল চুকে সানাম’ ছবিতে অভিনয় করে সালমান-ঐশ্বরিয়া জুটি পায় আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা। এ ছবিতে অভিনয় করার সময় বাস্তবজীবনেও তারা হৃদয়ঘটিত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ছবিটির সাফল্যের বেশির ভাগটা ভোগ করেন ঐশ্বরিয়া। তাকে একের পর এক নতুন ছবিতে দেখা যায়। প্রেমের টানাপোড়েনে খুব বেশি দিন ঐশ্বারিয়া আর সালমান একসঙ্গে থাকতে পারেননি। স্ক্রিনে এ জুটিকে দর্শকরা বার বার দেখতে চাইলেও এটাই ছিল একসঙ্গে অভিনীত তাদের শেষ ছবি।
কারিশমা কাপুর : পরস্পরের চমৎকার বোঝাপড়া
বলিউডের প্রভাবশালী কাপুর পরিবারের বড় কন্যা কারিশমা কাপুর ও সালমান খানের অনস্ক্রিন ক্যমিস্ট্রি ছিল
অসাধারন। অভিনয়ে তাদের পরস্পরের মধ্যে চমৎকার বোঝাপড়ার কথা স্বীকার করেছেন দুজনই। ১৯৯৭ সালে ‘জুডোয়া’, ১৯৯৯ সালে ‘বিবি নম্বর ওয়ান’ এবং ২০০০ সালের ’দুলহান হাম লে জায়েঙ্গে’ ও ‘চল মেরে ভাই’ ছবিতে সালমানের পার্টনাম ছিলেন কারিশমা কাপুর। এ জুটি অভিনীত ছবিগুলো ভক্তদের দারুন আনন্দ দেয়
সুস্মিতা সেন : বন্ধুত্বের বন্ধন
একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে সালমান খান বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়ার প্রেমে পড়লেও মিস ইউনিভার্স সুস্মিতার সঙ্গে তার গড়ে উঠেছিল চমৎকার বন্ধুত্ব। এই বন্ধুত্বের বন্ধন আজও তাদের মধ্যে বজায় রয়েছে। ২০০৫ সালে ডেভিড ধাওয়ানের ‘মেনে পেয়ার কিউ কিয়া’ ছবিতে তাদের ক্যামিস্ট্রি ভক্তরা সাদরে গ্রহন করে। সুস্মিতার ক্যারিয়ারের হাতে গোনা কয়েকটি ব্যবসা সফল ছবির মধ্যে এটি অন্যতম।
রানী মুখার্জি : নজরকাড়া এক্সপ্রেশন
বলিউডের বাল্কী নায়িকা রানী মূখার্জির সঙ্গেও সালমান অভিনয় করেছেন বেশ কয়েকটি ছবিতে। ২০০১ সালে ‘চোরি চোরি চুপকে চুপকে’ ছবিতে সালমান ও রানীর রোমান্টিক ভঙ্গি সবার নজর কাড়ে। এছাড়াও ’হ্যাল্লো ব্রাদার’, ’হার দিল জো
পেয়ার কারে গা’ ও ‘ বাবুল’ সহ আরও বেশ কয়েকটি ছবিতে এ জুটিকে দেখা যায়। রানী ও সালমানের রোমান্টিক এক্সপ্রেশন সবার নজর কাড়ে।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া : অভিনয়ের স্বাচ্ছন্দ্য ভঙ্গি
বলিউডে সালমান-প্রিয়াঙ্কার সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন সময় শোনা গেছে মান-অভিমান এবং ভালোবাসা-ঘৃনার নানা গুঞ্জন। তবে পর্দায় এ জুটিকে স্বাচ্ছন্দ্য ভঙ্গিতে অভিনয় করতে দেখা গেছে সবসময়। সাবেক বিশ্বসুন্দরী প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে সালমান খানকে দেখা যায় ২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মুজসে সাদি কারোগে’ ছবিতে এবং ২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘গড তুসি গ্রেট হো’ ছবিতে।
প্রীতি জিনতা : পারস্পরিক সমঝোতা ও সহযোগিতা
বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিননেতী প্রীতি জিনতাও অনস্ক্রিনে সালমানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন। দুজনের মধ্যকার কিছু সমঝোতায় একে অপরের বিপরীতে কাজের ক্ষেত্রে বেশ সহযোগিতা করেছে। ২০০০ সালের ‘হার দিল জো পেয়ার কারেগা’ ও ২০০১ সালের ‘চোরি চোরি চুপকে চুপকে’ ছবি সহ আরও বেশ কিছু ছবিতে তারা অভিনয় করেছেন।
কারিনা কাপুর : সবার সেরা ক্যামিস্ট্রি
বলিউড বেবো কারিনা কাপুর ও সালমানের ক্যামিস্ট্রি তো সবার সেরা। এ বছর সেরা জুটির পুরস্কারও জিতে নিয়েছেন তারা। ২০১১ সালের ‘বডিগাডর্’ ছবির মাধ্যমে এ স্বীকৃতি জিতে নিয়েছেন এ জুটি। এছাড়া ২০০৫ সালের ’ কিউ কি’ ছবিতে তাদের একসঙ্গে দেখা যায়। ভক্তরা এ জুটিকে আগামীতেও একসঙ্গে অভিনয়ে দেখতে চান।
ক্যাটরিনা কাইফ : বাস্তবজীবনের জাদু পর্দায় অনুপস্থিত
সালমান ক্যারিয়ারের যাত্রাপথে আসা সুন্দরীদের নামের তালিকা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে যদি ক্যাটরিনার নাম বাদ পড়ে যায়। বাস্তব জীবনে সালমান ও ক্যাটরিনার প্রেম অনস্ক্রিনে জাদু দেখাতে সক্ষম হয়নি। সালমানের বিপরীতে ক্যাটরিনা অভিনীত ছবি দর্শকদের মুগ্ধ করতে পারেনি। প্রেমের সর্ম্পক ভেঙ্গে যাওয়ার পরও নতুন ‘এক থা টাইগার’ ছবিতে অভিনয় করছেন এ জুটি। বর্তমানে সালমান রাজত্ব করছেন বলিউড ইন্ডাষ্ট্রিতে। তাই নতুন ছবিতে এ জুটিকে দর্শকরা গ্রহন করবেন সে আশাই করছেন সমালোচকরা।
বয়স ৪৬ পার হলেও যৌবনের উদ্যমতা ও তারুণ্যের গতি এখনো ধরে রেখেছেন বলিউড বডিগার্ড সালমান খান। বাস্তব জীবনের কারো বডিগার্ড না হলেও বলিউডের সেরা সব সুন্দরী হিরোইনদের বডিগার্ড হয়েছেন, অর্থাৎ জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন। সেই ১৯৮৮ সাল থেকে বলিউড ফিল্মডোমে আছেন সল্লু মিয়া। অভিনয় করেছেন ৮০টির বেশি ছবিতে।
এসব ছবির সিংহভাগই দেখেছে বানিজ্যিক সাফল্যের মুখ। সালমানের ভক্ত এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে। বাংলাদেশেও তার ভক্তের সংখ্যা অনেক।
সালমান খান তার তিন দশকের ক্যারিয়ারে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে করেছেন দুর্দান্ত অভিনয়। অ্যাকশন আর রোমন্টিক, সব চরিত্রেই তিনি দারুন মানিয় নেন। এভারগ্রিন এই হিরো তার সুঠাম দেহের জন্যও কম জনপ্রিয় নন। বলিউডের সেরা প্রায় সুন্দরীকেই সালমান খানের বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা গেছে। বলিউডে আজকের জনপ্রিয় একাধিক অভিনেত্রী ফিল্মে পরিচিতি পেয়েছেন তার সঙ্গে অভিনয় করে।
সালমান খানের তিন দশকের ক্যারিয়ারে যেসব বলিউড বিউটি তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন, আসুন তাদের প্রতি চোখ রাখি।
ভাগ্রশী: ভাগ্যের চাকা ঘোরার প্রথম সঙ্গী
বলিউড ফিল্মডোমে সালমানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সূচনাতে তার প্রথম সঙ্গী হন হরিনী চোখের অধিকারী বলিউড অভিনেত্রী ভাগ্যশ্রী। ১৯৮৯ সালে সালমান ও ভাগ্যশ্রীর অভিনীত রোমান্টিক ছবি ‘মেনে পেয়ার কিয়া’ ব্লক ব্লাস্টার হিট করে। এই ছবি থেকে ঘুরে যায় সালমানের ভাগ্যে চাকা। অভিনয় ক্যারিয়ারে তার সাফল্যের যাত্রা শুরু হয় এ ছবির মাধ্যমে। বলিউডে এ ছবির সাফল্যের ধারাবহিকতা বজায় রেখে সালমান খান সুপ্রতিষ্ঠিত হলেও অভিনয় থেকে ঝরে পড়েন নায়িকা ভাগ্যশ্রী।
মাধুরী দীক্ষিত : যার অবদান সবচেয়ে বেশি
বলিউডের সর্বকালের সেরা সুন্দরী মাধুরী দীক্ষিত। অপরূপ হাস্যজ্জ্বোল মুখের অধিকারী এ নায়িকা সালমানের ক্যারিয়ারে অবদান রেখেছেন সবচেয়ে বেশি। সে সময়ের তুলনামুলক নবীন অভিনেতা সালমানের সঙ্গে অভিনয়ে তিনি সামর্থ্যরে সবটুকু ঢেলে দিতে বিন্দু পরিমান কার্পন্য করেন নি। ১৯৯১ সালে ‘সাজান’ ও ১৯৯৪ সালের ‘হাম আপকে হে কৌন’ ছবি দুটোতে মাধুরীর সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন সালমান। ব্যবসা সফল এ পারিবারিক বিনোদনের এ দুটি ছবি দর্শকদের মনে এখনো দাগ কেটে আছে।
ঐশ্বরিয়া রাই : অনন্য সেই ক্যামিস্ট্রি
এভারগ্রীন ব্যাচেলর সালমান ও সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাইয়ের অনন্য কেমিস্ট্রির কথা আজ বলিউডের ইতিহাসের অংশ হয়ে আছে। ১৯৯৯ সালে ‘হাম দিল চুকে সানাম’ ছবিতে অভিনয় করে সালমান-ঐশ্বরিয়া জুটি পায় আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা। এ ছবিতে অভিনয় করার সময় বাস্তবজীবনেও তারা হৃদয়ঘটিত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ছবিটির সাফল্যের বেশির ভাগটা ভোগ করেন ঐশ্বরিয়া। তাকে একের পর এক নতুন ছবিতে দেখা যায়। প্রেমের টানাপোড়েনে খুব বেশি দিন ঐশ্বারিয়া আর সালমান একসঙ্গে থাকতে পারেননি। স্ক্রিনে এ জুটিকে দর্শকরা বার বার দেখতে চাইলেও এটাই ছিল একসঙ্গে অভিনীত তাদের শেষ ছবি।
কারিশমা কাপুর : পরস্পরের চমৎকার বোঝাপড়া
বলিউডের প্রভাবশালী কাপুর পরিবারের বড় কন্যা কারিশমা কাপুর ও সালমান খানের অনস্ক্রিন ক্যমিস্ট্রি ছিল
অসাধারন। অভিনয়ে তাদের পরস্পরের মধ্যে চমৎকার বোঝাপড়ার কথা স্বীকার করেছেন দুজনই। ১৯৯৭ সালে ‘জুডোয়া’, ১৯৯৯ সালে ‘বিবি নম্বর ওয়ান’ এবং ২০০০ সালের ’দুলহান হাম লে জায়েঙ্গে’ ও ‘চল মেরে ভাই’ ছবিতে সালমানের পার্টনাম ছিলেন কারিশমা কাপুর। এ জুটি অভিনীত ছবিগুলো ভক্তদের দারুন আনন্দ দেয়
সুস্মিতা সেন : বন্ধুত্বের বন্ধন
একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে সালমান খান বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়ার প্রেমে পড়লেও মিস ইউনিভার্স সুস্মিতার সঙ্গে তার গড়ে উঠেছিল চমৎকার বন্ধুত্ব। এই বন্ধুত্বের বন্ধন আজও তাদের মধ্যে বজায় রয়েছে। ২০০৫ সালে ডেভিড ধাওয়ানের ‘মেনে পেয়ার কিউ কিয়া’ ছবিতে তাদের ক্যামিস্ট্রি ভক্তরা সাদরে গ্রহন করে। সুস্মিতার ক্যারিয়ারের হাতে গোনা কয়েকটি ব্যবসা সফল ছবির মধ্যে এটি অন্যতম।
রানী মুখার্জি : নজরকাড়া এক্সপ্রেশন
বলিউডের বাল্কী নায়িকা রানী মূখার্জির সঙ্গেও সালমান অভিনয় করেছেন বেশ কয়েকটি ছবিতে। ২০০১ সালে ‘চোরি চোরি চুপকে চুপকে’ ছবিতে সালমান ও রানীর রোমান্টিক ভঙ্গি সবার নজর কাড়ে। এছাড়াও ’হ্যাল্লো ব্রাদার’, ’হার দিল জো
পেয়ার কারে গা’ ও ‘ বাবুল’ সহ আরও বেশ কয়েকটি ছবিতে এ জুটিকে দেখা যায়। রানী ও সালমানের রোমান্টিক এক্সপ্রেশন সবার নজর কাড়ে।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া : অভিনয়ের স্বাচ্ছন্দ্য ভঙ্গি
বলিউডে সালমান-প্রিয়াঙ্কার সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন সময় শোনা গেছে মান-অভিমান এবং ভালোবাসা-ঘৃনার নানা গুঞ্জন। তবে পর্দায় এ জুটিকে স্বাচ্ছন্দ্য ভঙ্গিতে অভিনয় করতে দেখা গেছে সবসময়। সাবেক বিশ্বসুন্দরী প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে সালমান খানকে দেখা যায় ২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মুজসে সাদি কারোগে’ ছবিতে এবং ২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘গড তুসি গ্রেট হো’ ছবিতে।
প্রীতি জিনতা : পারস্পরিক সমঝোতা ও সহযোগিতা
বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিননেতী প্রীতি জিনতাও অনস্ক্রিনে সালমানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন। দুজনের মধ্যকার কিছু সমঝোতায় একে অপরের বিপরীতে কাজের ক্ষেত্রে বেশ সহযোগিতা করেছে। ২০০০ সালের ‘হার দিল জো পেয়ার কারেগা’ ও ২০০১ সালের ‘চোরি চোরি চুপকে চুপকে’ ছবি সহ আরও বেশ কিছু ছবিতে তারা অভিনয় করেছেন।
কারিনা কাপুর : সবার সেরা ক্যামিস্ট্রি
বলিউড বেবো কারিনা কাপুর ও সালমানের ক্যামিস্ট্রি তো সবার সেরা। এ বছর সেরা জুটির পুরস্কারও জিতে নিয়েছেন তারা। ২০১১ সালের ‘বডিগাডর্’ ছবির মাধ্যমে এ স্বীকৃতি জিতে নিয়েছেন এ জুটি। এছাড়া ২০০৫ সালের ’ কিউ কি’ ছবিতে তাদের একসঙ্গে দেখা যায়। ভক্তরা এ জুটিকে আগামীতেও একসঙ্গে অভিনয়ে দেখতে চান।
ক্যাটরিনা কাইফ : বাস্তবজীবনের জাদু পর্দায় অনুপস্থিত
সালমান ক্যারিয়ারের যাত্রাপথে আসা সুন্দরীদের নামের তালিকা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে যদি ক্যাটরিনার নাম বাদ পড়ে যায়। বাস্তব জীবনে সালমান ও ক্যাটরিনার প্রেম অনস্ক্রিনে জাদু দেখাতে সক্ষম হয়নি। সালমানের বিপরীতে ক্যাটরিনা অভিনীত ছবি দর্শকদের মুগ্ধ করতে পারেনি। প্রেমের সর্ম্পক ভেঙ্গে যাওয়ার পরও নতুন ‘এক থা টাইগার’ ছবিতে অভিনয় করছেন এ জুটি। বর্তমানে সালমান রাজত্ব করছেন বলিউড ইন্ডাষ্ট্রিতে। তাই নতুন ছবিতে এ জুটিকে দর্শকরা গ্রহন করবেন সে আশাই করছেন সমালোচকরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন